• 01717591600
  • EIIN:122900, বিদ্যালয় কোড:৭২৫৪,MPO Code:8904011301
  • EIIN NO: 122900
ওয়েবসাইড উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে।  |  ডেঙ্গু রোগ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি, প্রতিকার ও প্রতিরোধ বিষয়ে প্রকল্পভিত্তিক শিখন কার্যক্রম  |  দশম শ্রেণীর নির্বাচনী পরীক্ষা-২০২৩  |  

প্রতিষ্ঠাতার জীবনী

Picture

মরহুম গিয়াস উদ্দিন সরকার প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয় এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন সরকারের পিতার নাম ত্রিফুল মিয়া, মাতার নাম অজ্ঞাত, সহধর্মিনী ফুলমতি বিবি তিনি ১৯৬৯ খ্রিঃ ১৫ জুলাই পরলোক গমন করেন মৃত্যুকালে দুই সন্তান আরফান উল্ল্যা সরকার ও ছালামত উল্ল্যা সরকার কে রেখে যান তাঁর কোন কন্যা সন্তান ছিল না মরহুম গিয়াস উদ্দিন সরকার তৎকালীন লালমনিরহাট থানার সকল স্তরের মানুষের কাছে ঘোকসা দালাল বা ঘোকসা দেওয়ানী নামে সুপরিচিত ছিলেন। তখনকার সময় লালমনিরহাট থানা কুড়িগ্রাম মহকুমার অন্তর্গত ছিল এবং কুড়িগ্রাম মহকুমায় মামলা মোকাদ্দমা করার জন্য কুড়িগ্রাম আদালত কার্যকর ছিল। মরহুম গিয়াস উদ্দিন সরকার নিজ পূর্ব নাম ঘোকসা মামুদ পরিবর্তন করার জন্য কুড়িগ্রাম মহকুমা হাকিমের নিকট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ হাকিম গিয়াস উদ্দিন সরকার নাম মঞ্জুর করেন। তিনি এই গিয়াস উদ্দিন সরকার নাম প্রচারের লক্ষে উঠ জবাই করে এলাকার মানুষকে দাওয়াত করে খাওয়ান। নাম প্রচারের লক্ষে বর্তমান লালমনিরহাট শহরে অবিস্থিত কালেক্টরেট মাঠ নামে পরিচিত, মাঠটি পরিত্যাক্ত রেলওয়ের জায়গায় তিনি ফুটবল খেলার মাঠ তৈরী করেন এবং সাইনবোর্ডে “গিয়াস উদ্দিন ফুটবল মাঠ” প্রচার করেন। তৎকালীন “গিয়াস উদ্দিন খেলার মাঠ (বর্তমান কালেক্টরেট মাঠ)” শহরে ও শহরের বাহিরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ এখনো গিয়াস উদ্দিন খেলার মাঠ নামে ডাকে।

       গিয়াস উদ্দিন সরকার একজন সৌখিন মানুষ ছিলেন। যুবক বয়সে গানে মোহনীয় হয়ে তিনি গান গাইতেন। দাদীর মুখে শুনেছি যে থানার কালমাটি, খুনিয়াগাছ, হরিণচড়া, মহিষখোচা, দুড়াকুটি, এলাকার হাট থেকে পাট খরিদ করে গরু বা মহিষের গাড়িতে চড়ে গান গাইতে গাইতে আসতেন। তাঁর এই গানে মোহনীয় হয়ে একিদন এক মহিলা গাড়ীর পিছন পিছন চলে এসেছিল। গিয়াস উদ্দিন সরকার বড় কাপড়ের দোকান ছিল। তিনি একজন ভাল ব্যবসায়ী ছিলেন। ঐ সময় লালমনিরহাট থানায় বর্তমান পৌর এলাকায় নাম ছিল ইউনিয়ন বোর্ড। পরবর্তীতে ইউনিয়ন কাউন্সিল বর্তমান পৌরসভা। বৃটিশ আমলে তিনি একবার ইউনিয়ন বোর্ডের মেম্বার নির্বাচিত হন। ১৯৪৭ খ্রি. ভারত পাকিস্থান দুটি পৃথক রাষ্ট্র বিভক্ত হওয়ার পর তিনি দুই দুইবার ইউনিয়ন কাউন্সিলের মেম্বার নির্বাচিত হন। তৎকালীন লালমনিরহাট শহর ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন এলাকাগুলোতে সুশাসনের মাধ্যমে মদ, জুয়া, চুরী, ডাকাতি, ধর্ষণ, ইভটিজিং ও যাবতীয় অসামাজিক কার্যকলাপ কঠোর হস্তে দমন করে রেখেছিলেন সেই বরেন্য ব্যক্তিবর্গগণ হলেন- মজাহার পঞ্চায়েত, কছিমুদ্দিন মাষ্টার, কাশেম আলী সরকার ও গিয়াস উদ্দিন সরকার। বাড়িতে সবসময় একটি ছই বাধানো গরুর গাড়ি বাঁধা থাকতো। বর্তমানে ছই একটি অপরিচিত নাম, যাহা আর চোখে পড়ে না। ছই বাধানো গাড়িতে চড়ে উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ লালমনিরহাট থানার হরিণচড়া, কালমাটি, খুনিয়াগাছ এবং বিভিন্ন এলাকায় সেখানকার স্থানীয় দেওয়ানী বা মাতবরগণ যখন বড় ধরনের কোন সামাজিক শালিস বিচার নিজেরা সামলাতে পারতনা তখন এই বরেন্য ব্যক্তি বর্গকে দাওয়াত করে নিয়ে থানার সকলের সহযোগীতায় তাহা সমাধান করতেন। তাদের শাসন ব্যবস্থা এতই কঠিন ও সন্তোষজনক ছিল যে শহর ও গ্রাম এলাকার চুড়ি, ডাকাতি, ঝগড়া বিবাদ এর শালিস স্থানীয় থানায় যাওয়ার কোন সুযোগ ছিল না। যদিও বা দুই একটা থানায় যেত তাও আবার স্থানীয় শালিসে সমাধান করে দিতেন।

সংগৃহিত

মোঃ আবুল কাশেম সরকার